রূপান্তর করুন JPEGগুলি থেকে PNGগুলি তে

JPEG, যা Joint Photographic Experts Group এর জন্য দাঁড়িয়েছে, ডিজিটাল ইমেজের জন্য লসি কম্প্রেশনের একটি সাধারণত ব্যবহৃত পদ্ধতি, বিশেষ করে ডিজিটাল ফটোগ্রাফি দ্বারা উত্পাদিত সেই ইমেজগুলির জন্য। কম্প্রেশনের ডিগ্রিটি সামঞ্জস্য করা যেতে পারে, স্টোরেজের আকার এবং ইমেজের গুণমানের মধ্যে একটি নির্বাচনযোগ্য ট্রেডঅফের অনুমতি দেয়। JPEG সাধারণত ইমেজের গুণমানে সামান্য অনুধাবনযোগ্য ক্ষতির সাথে 10:1 কম্প্রেশন অর্জন করে।

JPEG কম্প্রেশন অ্যালগরিদমটি JPEG স্ট্যান্ডার্ডের মূল অংশে রয়েছে। প্রক্রিয়াটি একটি ডিজিটাল ইমেজ দিয়ে শুরু হয় যা তার সাধারণ RGB রঙের স্থান থেকে YCbCr নামে পরিচিত একটি ভিন্ন রঙের স্থানে রূপান্তরিত হয়। YCbCr রঙের স্থানটি ইমেজটিকে লুমিন্যান্স (Y) এ বিভক্ত করে, যা উজ্জ্বলতার স্তরকে উপস্থাপন করে, এবং ক্রোমিন্যান্স (Cb এবং Cr), যা রঙের তথ্য উপস্থাপন করে। এই বিচ্ছেদটি উপকারী কারণ মানুষের চোখ রঙের চেয়ে উজ্জ্বলতার তারতম্যের প্রতি বেশি সংবেদনশীল, কম্প্রেশনকে লুমিন্যান্সের চেয়ে রঙের তথ্যকে আরও বেশি কম্প্রেস করে এর সুযোগ নিতে দেয়।

ইমেজটি YCbCr রঙের স্থানে থাকার পরে, JPEG কম্প্রেশন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপটি ক্রোমিন্যান্স চ্যানেলগুলিকে ডাউনস্যাম্পল করা। ডাউনস্যাম্পলিং ক্রোমিন্যান্স তথ্যের রেজোলিউশন হ্রাস করে, যা সাধারণত ইমেজের অনুধাবনযোগ্য গুণমানকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে না, কারণ মানুষের চোখ রঙের বিশদে কম সংবেদনশীল। এই ধাপটি ঐচ্ছিক এবং ইমেজের গুণমান এবং ফাইলের আকারের মধ্যে পছন্দসই ভারসাম্যের উপর নির্ভর করে এটি সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।

ডাউনস্যাম্পলিংয়ের পরে, ইমেজটিকে ব্লকগুলিতে বিভক্ত করা হয়, সাধারণত আকারে 8x8 পিক্সেল। প্রতিটি ব্লক তারপর আলাদাভাবে প্রক্রিয়া করা হয়। প্রতিটি ব্লক প্রক্রিয়াকরণের প্রথম ধাপটি হল ডিসক্রিট কোসাইন ট্রান্সফর্ম (DCT) প্রয়োগ করা। DCT একটি গাণিতিক অপারেশন যা স্পেসিয়াল ডোমেন ডেটা (পিক্সেলের মান) ফ্রিকোয়েন্সি ডোমেনে রূপান্তরিত করে। ফলাফলটি ফ্রিকোয়েন্সি সহগের একটি ম্যাট্রিক্স যা স্পেসিয়াল ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানগুলির ক্ষেত্রে ইমেজ ব্লকের ডেটা উপস্থাপন করে।

DCT থেকে প্রাপ্ত ফ্রিকোয়েন্সি সহগগুলি তারপর পরিমাণিত হয়। পরিমাণকরণ হল ইনপুট মানগুলির একটি বড় সেটকে একটি ছোট সেটে ম্যাপ করার প্রক্রিয়া - JPEG এর ক্ষেত্রে, এর অর্থ ফ্রিকোয়েন্সি সহগগুলির নির্ভুলতা হ্রাস করা। এখানেই কম্প্রেশনের লসি অংশটি ঘটে, কারণ কিছু ইমেজের তথ্য বাদ দেওয়া হয়। পরিমাণকরণ ধাপটি একটি পরিমাণকরণ টেবিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা নির্ধারণ করে যে প্রতিটি ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানে কতটা কম্প্রেশন প্রয়োগ করা হবে। পরিমাণকরণ টেবিলগুলি উচ্চতর ইমেজের গুণমান (কম কম্প্রেশন) বা ছোট ফাইলের আকার (বেশি কম্প্রেশন) এর পক্ষে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।

পরিমাণকরণের পরে, সহগগুলি একটি জিগজ্যাগ অর্ডারে সাজানো হয়, উপরের-বাম কোণ থেকে শুরু করে এবং একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করে যা উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সিগুলির উপর নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়। কারণ নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানগুলি (যা ইমেজের আরও অভিন্ন অংশগুলিকে উপস্থাপন করে) উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সি উপাদানগুলির (যা সূক্ষ্ম বিশদ এবং প্রান্তগুলি উপস্থাপন করে) চেয়ে সামগ্রিক চেহারার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।

JPEG কম্প্রেশন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপটি এনট্রপি কোডিং, যা লসলেস কম্প্রেশনের একটি পদ্ধতি। JPEG-তে ব্যবহৃত এনট্রপি কোডিংয়ের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হল হাফম্যান কোডিং, যদিও অ্যারিথমেটিক কোডিংও একটি বিকল্প। হাফম্যান কোডিং আরও ঘন ঘন ঘটনার জন্য ছোট কোড এবং কম ঘন ঘন ঘটনার জন্য দীর্ঘ কোড বরাদ্দ করে কাজ করে। যেহেতু জিগজ্যাগ অর্ডারিং একই রকম ফ্রিকোয়েন্সি সহগগুলিকে একসাথে গ্রুপ করে, তাই এটি হাফম্যান কোডিংয়ের দক্ষতা বাড়ায়।

এনট্রপি কোডিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, কম্প্রেসড ডেটাটি একটি ফাইল ফর্ম্যাটে সংরক্ষণ করা হয় যা JPEG স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই ফাইল ফর্ম্যাটে একটি হেডার রয়েছে যা ইমেজ সম্পর্কে তথ্য ধারণ করে, যেমন এর মাত্রা এবং ব্যবহৃত পরিমাণকরণ টেবিল, তারপরে হাফম্যান-কোডেড ইমেজ ডেটা। ফাইল ফর্ম্যাটটি মেটাডেটার অন্তর্ভুক্তিকেও সমর্থন করে, যেমন EXIF ডেটা, যা ফটোগ্রাফ তোলার জন্য ব্যবহৃত ক্যামেরার সেটিংস, এটি তোলা তারিখ এবং সময় এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিশদ সম্পর্কে তথ্য ধারণ করতে পারে।

যখন একটি JPEG ইমেজ খোলা হয়, ডিকম্প্রেশন প্রক্রিয়াটি মূলত কম্প্রেশন ধাপগুলিকে বিপরীত করে। হাফম্যান-কোডেড ডেটা ডিকোড করা হয়, পরিমাণিত ফ্রিকোয়েন্সি সহগগুলি একই পরিমাণকরণ টে

বছরের পর বছর ধরে ইমেজ ফরম্যাটের বিবর্তন উল্লেখযোগ্য হয়েছে, উচ্চতর দৃশ্যমান মানের এবং আরও দক্ষ ডেটা সংকোচন কৌশলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দ্বারা পরিচালিত। এই বিকাশগুলির মধ্যে, PLASMA ইমেজ ফরম্যাটটি আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে, উচ্চ সংকোচন অনুপাত, বিস্তৃত রঙের গামুটের জন্য সমর্থন এবং ইমেজ এনকোডিংয়ের একটি অভিযোজ্য পদ্ধতির একটি অনন্য মিশ্রণ অফার করে যা এটিকে বিশেষভাবে ওয়েব ব্যবহার এবং উচ্চ-সংজ্ঞা ডিসপ্লে উভয়ের জন্য কার্যকর করে তোলে। PLASMA কে অন্যান্য ইমেজ ফরম্যাট থেকে আলাদা করে এমন একটি মূল বৈশিষ্ট্য হল এর উন্নত সংকোচন অ্যালগরিদম, যা ইমেজের মানেরের সাথে আপস না করে ফাইলের আকার কমাতে ডিজাইন করা হয়েছে।

PLASMA এর পিছনে থাকা সংকোচন প্রযুক্তি 'পারসেপচুয়াল কোয়ান্টিজেশন' নামে পরিচিত একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে, যা মানব দৃষ্টিশক্তি ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলির সুযোগ নেয়। ইমেজ জুড়ে ডেটা একরূপে কম করে এমন ঐতিহ্যবাহী সংকোচন পদ্ধতিগুলির বিপরীতে, পারসেপচুয়াল কোয়ান্টিজেশন নির্বাচনীভাবে ইমেজের সেই অঞ্চলগুলিকে সংকুচিত করে যেখানে চোখের পার্থক্য লক্ষ্য করার সম্ভাবনা কম। এই পদ্ধতিটি PLASMA ইমেজগুলিকে সংকোচন দক্ষতা এবং ইমেজের মানেরের মধ্যে কার্যকরভাবে ভারসাম্য রেখে, এমনকি কম বিটরেটেও উচ্চ স্তরের দৃশ্যমান বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে দেয়।

PLASMA ফরম্যাটের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল বিস্তৃত রঙের গামুটের জন্য এর সমর্থন। এর অর্থ হল এটি পুরানো ইমেজ ফরম্যাটের তুলনায় রঙের একটি বিস্তৃত বর্ণালীকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে। এই ক্ষমতা পেশাদার ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল আর্ট এবং যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেখানে রঙের সঠিকতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। PLASMA এটি অ্যাডোব RGB এবং ProPhoto RGB এর মতো সর্বশেষ রঙের স্থানগুলিকে সমর্থন করে এমন উন্নত রঙের প্রোফাইল অন্তর্ভুক্ত করে অর্জন করে, যা নিশ্চিত করে যে প্রদর্শিত রঙগুলি যতটা সম্ভব মূলের কাছাকাছি।

অভিযোজ্য এনকোডিং PLASMA ইমেজ ফরম্যাটের ডিজাইনের আরেকটি ভিত্তি। এই কৌশলটি ফরম্যাটকে ইমেজের সামগ্রীর উপর ভিত্তি করে ডেটা এনকোড করার পদ্ধতিটি গতিশীলভাবে সামঞ্জস্য করতে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, এটি পুনরাবৃত্তিমূলক প্যাটার্ন বা টেক্সচারকে সনাক্ত এবং দক্ষতার সাথে এনকোড করতে পারে, যখন জটিল বা অত্যন্ত বিস্তারিত অঞ্চলগুলিতে আরও বিস্তারিত এনকোডিং প্রয়োগ করে। এই অভিযোজন কেবল সংকোচনকেই উন্নত করে না, এটি এটিও নিশ্চিত করে যে গুরুত্বপূর্ণ বিবরণগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে, এটিকে ওয়েব ইমেজ থেকে বিস্তারিত ডিজিটাল পেইন্টিং পর্যন্ত বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ করে তোলে।

তার কারিগরি শক্তির পাশাপাশি, PLASMA ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং ব্যবহারযোগ্যতা উন্নত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যও অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে একটি হল প্রগতিশীল লোডিংয়ের বিকল্প, যা ইমেজগুলিকে প্রাথমিকভাবে কম মানেরে প্রদর্শন করতে দেয় এবং তারপর ধীরে ধীরে বিস্তারিতভাবে বাড়ায়। এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষভাবে ওয়েব ব্যবহারের জন্য উপকারী, ওয়েবসাইটগুলিকে দ্রুত লোড করতে সক্ষম করে তবে এখনও শেষ পর্যন্ত পূর্ণ মানেরে ইমেজ প্রদর্শন করে। প্রগতিশীল লোডিং PLASMA কে মোবাইল পরিবেশের জন্যও একটি ভালো পছন্দ করে তোলে, যেখানে ব্যান্ডউইথ সীমিত হতে পারে এবং লোডিং সময় যতটা সম্ভব ছোট রাখা দরকার।

সুরক্ষা এবং কপিরাইট সুরক্ষাও PLASMA ফরম্যাটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ডিজিটাল সামগ্রী আরও ব্যাপকভাবে ভাগ করা এবং পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে, কপিরাইট লঙ্ঘন সৃষ্টিকর্তাদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। PLASMA এম্বেডেড ডিজিটাল ওয়াটারমার্কিং এবং কপিরাইট নোটিস ক্ষমতার মাধ্যমে এটি সমাধান করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি সৃষ্টিকর্তাদের অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক বা দৃশ্যমান কপিরাইট নোটিস সরাসরি ইমেজ ফাইলে এম্বেড করতে দেয়, একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যোগ করে যখন ইমেজটি সংকুচিত হয় তখনও তথ্যটি বজায় রাখা নিশ্চিত করে।

বিদ্যমান প্রযুক্তি এবং প্ল্যাটফর্মের সাথে PLASMA এর সামঞ্জস্যতা এর ডিজাইনের আরেকটি সমালোচনামূলক দিক। ইন্টারঅপারেবিলিটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে, PLASMA এর বিকাশকারীরা নিশ্চিত করেছেন যে এটি বর্তমান ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড এবং ইমেজ এডিটিং সফ্টওয়্যারের সাথে সহজেই সংহত করা যায়। এই প্রচেষ্টায় জনপ্রিয় গ্রাফিক্স সফ্টওয়্যারের জন্য প্লাগইন এবং এক্সটেনশনগুলির বিকাশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা শিল্পী এবং ডিজাইনারদের জন্য তাদের ওয়ার্কফ্লোতে PLASMA গ্রহণ করা সহজ